কাশ্মীর বিষয়ে হস্তক্ষেপের কোনো অধিকার নেই পাকিস্তানের

কাশ্মীর বিষয়ে হস্তক্ষেপের কোনো অধিকার নেই পাকিস্তানের। এটা সব সময়ই ভারতের বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বৃহস্পতিবার লাদাখের লেহতে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের একটি অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি পাকিস্তানের কাছে প্রশ্ন করতে চাই, জম্মু ও কাশ্মীর কবে পাকিস্তানের ছিল যে, আপনারা এ নিয়ে কান্নাকাটি করছেন। রাজনাথ আরও বলেন, পাকিস্তান তৈরি হওয়ার পর থেকে আমরা তাদের পরিচয়কে সম্মান করেছি।

কাশ্মীর সব সময়ই ভারতের অংশ। ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিবেশীসুলভ সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী। কিন্তু তার জন্য পাকিস্তান ভারতে সন্ত্রাস ছড়ানো বন্ধ করতে হবে।

৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়া হয়। এরপর রাজ্যটিকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার বিল সংসদে পাস করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সমর্থন জোগাড়ের চেষ্টা করে আসছে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘে এ নিয়ে আলোচনার সময় অধিকাংশ দেশই একমত হয়েছে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়ে রাজ্যটিকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার বিষয়টি ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়।

রাজনাথ বলেন, পাকিস্তানের উচিত পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নৃশংসতার বিষয়ে নজর দেয়া। তিনি আরও বলেন, মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক টমাস এস্পার তাকে টেলিফোনে জানিয়েছেন, সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়া ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বর্তমান ইস্যুতে পাকিস্তানের পাশে কোনো দেশ নেই।

এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতির দিনে দিনে উন্নতি হচ্ছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে প্রশাসন। যে সমস্ত এলাকা থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে, সে সমস্ত এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

জম্মু ও কাশ্মীরের তথ্য ও জনসংযোগ দফতরের ডিরেক্টর সইদ শেহরিশ আসগর বলেন, প্রতিদিনই কাশ্মীরের পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৩,০৩৭টি প্রাথমিক এবং ৭৭৪টি মাধ্যমিক স্কুল খোলা হয়েছে।

হাইস্কুলগুলোও খুলতে শুরু হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, প্রত্যেক এলাকায় দোকান খোলার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুমতিও দেয়া হয়েছে। আসগর জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে উপস্থিতির হার বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, শিক্ষকদের উপস্থিতির হারও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে।

বার্তাবাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর