‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় ফের একবার গণপিটুনির শিকার হতে হল তিন মুসলিম যুবককে।এ নিয়ে ফের ভারত জুড়ে তোলপাড়।সবাই দায়ী করছেন এর মূলে মোদি সরকার।মূলত মুসলিম নিধনই তাদের উদ্দেশ্য।
এবারের ঘটনাস্থল আবার গুজরাটের গোধরা। দুষ্কৃতীরা দু’টি বাইকে চড়ে এসেছিল বলে জানিয়েছেন এক আক্রান্ত কিশোরের বাবা। তবে তাদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
জানা গিয়েছে, আক্রান্ত তিন কিশোর সমীর সিদ্দিকি, সালমান ঘিটেলি এবং সোহেল ভগতও বাইকে ছিল। মাঝপথে হঠাৎই তাদের থামিয়ে এই কাণ্ড ঘটনা ঘটায় উগ্রবাদী হিন্দুরা।
গণপিটুনির পর তারা বলেন, এলাকায় ফের দেখা গেলে আক্রান্ত কিশোরদের প্রাণে মেরে ফেলে দেওয়ার হুমকিও দেয়। পরে অবশ্য পালিয়ে যায়। ওই ছ’জনের বিরুদ্ধেই একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
অভিযোগকারী সিদ্দিক ভগতের দাবি, ‘বৃহস্পতিবার রাতে আক্রান্ত তিন কিশোর মোটরবাইকে করে বাড়ি ফিরছিল। মাঝপথে দুটি বাইকে ছয়জন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী সমীর, সালমান এবং সোহেলকে থামিয়ে দেয়। তাদের ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বলে। আর তা না করতেই শুরু হয় অত্যাচার। সমীরকে কপালে সাইকেলের চেন দিয়ে আঘাত করা হয়। সালমানকেও মাথায় মারা হয়।’ এখানেই শেষ নয়, আক্রান্ত যুবকের বাবা জানান, যাওয়ার আগে আক্রমণকারীরা প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছে।
তার দাবি, ‘তিনজনকে আবারও এলাকায় দেখা গেলে তাদের হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।’ জখম সমীর ও তার বন্ধুদের স্থানীয়রাই শহরের সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
তদন্তে নেমে পুলিশ ইন্সপেক্টর এইচসি রথভা জানিয়েছেন, ‘আক্রান্তরা কেউই এখন কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। ফলে পুরো বিষয়টি তাদের মুখ থেকে জানা যায়নি। ছয়জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, এর আগে ভারতের বেশ কয়েক জায়গায় মুসলিম যুবকদের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে উগ্রবাদী হিন্দুরা।
তথ্য সুত্র: ভারতের, আজকাল
বার্তাবাজার/এএস