কতটুকু রক্ত বের হলে রোজা ভেঙে যায়?

বছর ঘুরে আবার ফিরে এলো পবিত্র মাহে রমজান। ধর্মীয় বিধিবিধান মেনে সেহরির মাধ্যমে রোজা রাখার নিয়ত করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। কিন্তু এ রোজা রাখা অবস্থায় যদি কোনো কারণে আঘাত পেয়ে শরীর থেকে রক্ত বের হয় তাহলে কী রোজা হবে নাকি হবে না– এমন দ্বিধায় থাকেন অনেক রোজাদার মুসলিম।

রমজান মাস কোরআন নাজিলের মাস। কোরআন মানুষের জন্য হেদায়েত বা পথনির্দেশক। মুসলিম উম্মাহর জন্য নির্দেশনা হলো–যারা এ মাসটি পাবে তাদের জন্য রোজা পালন করতে হবে। তাই এই মাস সব মুসলমানের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস।

তাই সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানই ইসলামের সব বিধি বিধান মেনে এ মাসে রোজা পালন করেন। কিন্তু রোজা রেখে আহত হয়ে শরীর থেকে রক্ত বের হওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় কোনো কারণে এ পরিস্থিতির শিকার হলে রোজা ভেঙে ফেলেন।

কিন্তু এমনটা করা মোটেও উচিত নয়। কারণ বিষয়টি পরিষ্কার করতে মুসলিমদের পরামর্শ ও উপদেশ দিয়েছেন বিভিন্ন ধর্ম চিন্তাবিদরা। এর মধ্যে বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেছেন, শরীর থেকে কতটুকু রক্ত বের হলে রোজা ভেঙে যাবে এমন ধারণা ভিত্তিহীন। কারণ রক্তক্ষরণের সঙ্গে রোজা ভেঙে ফেলার কোনো সম্পর্ক নেই।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুস্পষ্ট বক্তব্য বা হাদিসে বলা হয়েছে, রোজা রাখা অবস্থায় কোনো কারণে রোজাদারের শরীর থেকে রক্ত বের হয় বা ক্ষত বা আহত হন তিনি, সে ক্ষেত্রে তার সিয়াম নষ্ট হবে না; বরং তিনি সিয়াম সাধনায় রোজা চালিয়ে যেতে পারবেন।

ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আরও জানান, এ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন আলেমের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। কিন্তু বিশুদ্ধ বক্তব্য এই যে, যারা মনে করেন, রক্তক্ষরণের কারণে সিয়াম নষ্ট হয় তারা এ বক্তব্যটুকু নিয়েছেন মূলত কাপিং বা সিঙ্গা বা চুষে নেয়া হয় থেকে। সেক্ষেত্রে তারা অনুমান করে হুকুম করেছেন সিয়াম নষ্ট হয়। কিন্তু হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুস্পষ্ট বক্তব্য অনুযায়ী তাদের এমন বক্তব্যের কোন ভিত্তি নেই।

বার্তা বাজার/জে আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর