ভারতের তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুরে রয়েছে বৃহদেশ্বর মন্দির। ১০০০ খ্রিস্টাব্দে চোল রাজাদের হাতে নির্মিত মন্দিরটি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত। মন্দির চত্বরে ছড়িয়ে রয়েছে সেইসব সময়ের নানা ভাস্কর্য ও প্রাচীন মূর্তি।
গত বুধবার ঈদের দিন ওই মন্দিরে ঘুরতে যান ২৮ বছরের যুবক মুজিবর রহমান। সেখানে মন্দিরের বিভিন্ন নারী মূর্তির সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ছবি তোলেন তিনি। এরপর সেই ছবি পোস্ট করেন নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে। এরপরই মন্দিরের অনুগামী, ভক্ত, ঐতিহ্যরক্ষায় উৎসাহী ও বিভিন্ন সংগঠন বিষয়টি নিয়ে সরব হয় এবং ওই যুবকের শাস্তি দাবি করেন।
একপর্যায়ে গত শনিবার তামিলনাড়ু পুলিশ গ্রেপ্তার করে মুজিবরকে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫ ও ২৯৫-এ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বর্তমানে মুজিবর তিরুচিরাপল্লির কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, মুজিবরের বাড়ি মাদুরাইয়ের কাছে ওঠাকাদাই এলাকায়। তবে তিনি থাকেন তিরুচিরাপল্লিতে। সেখানে তিনি ফুড ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজ করেন। বুধবার ইদ উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন মন্দিরে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে প্রায় এক হাজার বছরের পুরনো বিভিন্ন নারী মূর্তির সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন।
ফেসবুকে পোস্ট করা সেসব ছবিতে দেখা যাচ্ছে, নারী মূর্তিকে আপত্তিকরভাবে জড়িয়ে ধরে আছেন মুজিবর। আবার নারী মূর্তিকে জড়িয়ে ধরে চুমুও খেতে দেখা যাচ্ছে তাকে। কেবল তাই নয়, ছবি সম্বলিত নিজের ফেসবুক পোস্টে ওইসব নারী মূর্তিকে ‘শাল পরানো উচিত’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ওই মন্তব্য ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সরব হয়ে ওঠেন অনেকে। এরপরই শাস্তির দাবি ওঠে মুজিবরের।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা