নির্বাচনে জাল ভোট মিলেছেঃ ট্রাম্প

সম্প্রতি নির্বাচনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অনেক বেআইনি ভোটের সন্ধান পেয়েছেন দাবি করে বলেন, এসব নিয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন। এরজন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতেও বলেছেন তিনি।

|আরো খবর
ঘোষিত ফল বাতিল চেয়ে মিশিগানে নতুন মামলা
আগামী সপ্তাহে ভ্যাকসিন বিতরণ শুরু: ট্রাম্প
পেনসিলভানিয়ায়ও ট্রাম্পের মামলা খারিজ
উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে ভোট পুনর্গণনা নিয়ে এখন ভিন্ন কথা বলছেন ট্রাম্প। তিনি এখন বলছেন, পুনর্গণনা করা হয়েছে গণনার ভুল ধরার জন্য নয়; বেআইনিভাবে ভোট দেওয়ার ঘটনা খুঁজে দেখার জন্য।

পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত রিপাবলিকানদের আরেকটি মামলা বাতিল করে দিয়েছেন। এই মামলায় অঙ্গরাজ্যে ডাকযোগে ভোট গ্রহণ করা বাতিল চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল।

২৮ নভেম্বর অঙ্গরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান মাইক কেলির মামলাটি খারিজ করেন। অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল জোস শাপিরো আদালতের এ সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্রের আরেকটি বিজয় বলে উল্লেখ করেছেন।

৩০ লাখ ডলার ব্যয় করে উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে ভোট পুনর্গণনা জন্য আবেদন করা হয়েছিল ট্রাম্প শিবির থেকে। উইসকনসিনের মিলাউকি কাউন্টিতে মোট ৪ লাখ ৬০ হাজার ভোট পুনর্গণনা হয়। এতে বাইডেনের ভোট আরও বেড়েছে।

বাইডেনের আগের ভোটের সঙ্গে ২৫৭ ভোট ও ট্রাম্পের ১২৫ ভোট যোগ হয়েছে পুনর্গণনায়। ফলে, বাইডেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের চেয়ে আরও ১৩২ ভোটে এগিয়ে গেলেন।

উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাট-প্রধান এলাকা ডেইন কাউন্টির ভোট গণনা চলছে এখনো। আরও কয়েক দিন ধরে চলতে পারে এই গণনা। এখন পর্যন্ত ট্রাম্প বাইডেনের চেয়ে ৬৮ ভোট বেশি পেয়েছেন।

অঙ্গরাজ্যে ২০ হাজারের বেশি ভোটে বাইডেন জয়ী হওয়ার পর ট্রাম্প শিবির থেকে বিরোধ উপস্থাপন করা হয়, যাতে আদালতের আদেশ বা রাজ্যসভার মাধ্যমে ইলেক্টোরেট ভোট প্রত্যয়ন নিয়ে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যায়।

আগামী মঙ্গলবার উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের ভোট প্রত্যয়নের শেষ দিন। অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান মিলে গঠন করা নির্বাচন বোর্ডের এই প্রত্যয়ন করার কথা।

ইতিমধ্যে উইসকনসিন ভোটার অ্যালায়েন্স নামের ট্রাম্প–সমর্থক একটি রক্ষণশীল গ্রুপ ভোট প্রত্যয়ন বন্ধ রাখার আবেদন জানিয়েছে আদালতে।

২৮ নভেম্বর বিকেলে ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেছেন, পেনসিলভানিয়ায় ভোট জালিয়াতি নিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছিল। ব্যাপক প্রমাণ আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছু লোক এসব দেখতে চায় না। দেশকে রক্ষার জন্য তারা কিছুই করতে চায় না।

ট্রাম্প শিবির থেকে পেনসিলভানিয়ার অ্যাবসেন্টি ব্যালট নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ডাকযোগে আসা এসব ব্যালটে ভোটারের পরিচিতি নিশ্চিত করতে অনিয়ম হয়েছে বলে তাঁরা বলছেন। একই ব্যালটে ভিন্ন কালি দিয়ে লেখাকে তাঁরা বলতে চেষ্টা করছেন—এসব ব্যালট গ্রহণ করার পর নির্বাচনকর্মীরা ঠিকঠাক করেছেন।

অঙ্গরাজ্য পর্যায়ের আদালত ও সার্কিট কোর্টে এখন পর্যন্ত ট্রাম্প শিবির নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার মতো কোনো আইনি সাফল্য পায়নি। এখন তাদের গন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের দিকে।

বার্তাবাজার/এম.এ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর