চীনের পরীক্ষাগারেই তৈরি হয়েছে করোনা! আমেরিকার পর অভিযোগ ব্রিটেনের

‘চীনের গবেষণাগার থেকে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস।’ আমেরিকার পর এবার একই অভিযোগে সরব ব্রিটেনও।

যদিও বিশেষজ্ঞদের দাবি, পশুদেহ থেকেই মারণ রোগের জীবাণু ছড়িয়েছে। তারপরেও চীনের গবেষণাগার থেকে জীবাণু ছড়ানোর তত্ত্ব উড়িয়ে দিচ্ছে না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নেতৃত্বাধীন জরুরিকালীন কমিটি কোবরা (Cobra)।অবশ্য তাঁদের অভিযোগ খারিজ করেছে ব্রিটেনের চীনা দূতাবাস।

সে দেশে নিযুক্ত চীন দূত জেং রংয়ের দাবি, “এই অভিযোগ মিথ্যা। এই ধরণের অভিযোগ চীন ও তার নাগরিকদের আত্মত্যাগকে অসম্মানিত করছে। যদি চীনের গবেষণাগারে এই জীবাণু তৈরি হত, তাহলে সেখানে এত মৃত্যু ঘটত না।”

চীনের পর ইউরোপকে ভরকেন্দ্র বানিয়েছে করোনা। ইটালি, ফ্রান্স, স্পেনের পর ব্রিটেনেও মৃত্যু মিছিল চলছে। আক্রান্তের সংখ্যাও হু হু করে বাড়ছে। দেদার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চললেও প্রতিষেধক মেলেনি। এমনকী জীবাণু উৎপত্তি নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। অনেকেরই অভিযোগ, জৈব অস্ত্রে শত্রুদের ঘায়েল করতেই পরীক্ষাগারে এই মারণ জীবাণু বানাছিল চীন। সেখান থেকেই জীবাণু সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। আমেরিকা আগেই এই অভিযোগ জানিয়েছিল। এবার তাঁদের সুরে সুর মেলাল ব্রিটেনও। রানির দেশের পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি কমিশন তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ব্রিটেনের সংবাদপত্র ‘ডেইলি মেল’ কোবরা কমিশনের এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে লেখে, বিজ্ঞানীরা যতই বলুন, ইউহান প্রদেশের গবেষণাগারে জীবাণু তৈরির তথ্য উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

এ প্রসঙ্গে তাঁরা ২০১৮ সালে চীনের সংবাদপত্র পিপলস ডেলি চায়নার একটি প্রতিবেদনের কথা তুলে ধরেন। যেখানে বলা হয়েছিল, ‘চীনের ভাইরোলজি ইন্সটিটিউট ইবোলার চেয়ে ভয়ংকর এক জীবাণু নিয়ে গবেষণা করছে। মজাদার বিষয় হল, ৩০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে বানানো ওই প্রতিষ্ঠানটি বণ্যপ্রাণী বাজার থেকে মাত্র দশ মাইল দূরে রয়েছে।’ আবার অসমর্থিত সূত্রের খবর অনুযায়ী, মারণ জীবাণুতে প্রথম আক্রান্ত হয়েছিলেন ইউহানের ওই পরীক্ষাগারের বিজ্ঞানীরা। পরে বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে ‘ডেইলি মেল’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোবরা কমিশনের এক সদস্য জানান, ইউহানের গবেষণাগারে যে এই জীবাণু তারি হয়েছিল, সেই সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

ব্রিটেনের এই অভিযোগের তীব্র নিন্দা করেছেন চীনা দূত জেং রং। তাঁর কথায়, “বিশ্বেব স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিয়ে চীন চিন্তিত। তাদের স্বার্থে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছে। চীন বিশ্বের সমস্ত দেশকে এই মহামারি মোকাবিলায় সাহায্য করছে। কিন্তু সেই চেষ্টাকে অপমান করা হল। চীনেই যদি এই ভাইরাস তৈরি হত, তাহলে সেখানে এত মানুষকে মরতে হত না।”

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর