বঙ্গবন্ধু চ্যাম্প আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যান্ডবল-২০১৯ এর সেমিফাইনালে ইবি খেলোয়াড়দের উপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসী শিক্ষার্থীদের কাপুরুষচিত নগ্ন পৈশাচিক হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পরেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার বিকেলে এ ন্যাক্কারজনক হামলার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পরলে ইবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঘন্টা ব্যাপী রাস্তা অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকে। এসময় ছিঃ ছিঃ জাবি এই লজ্জা কই রাখবি, আমার ভাইরে মারলো কেন? জবাব চাই,জবাব দাও স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে ইবির প্রধান ফটক সংলগ্ন গোটা কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক।
এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন,ন্যাক্কারজনক হামলার জন্য জাবি প্রশাসনকে লিখিত ক্ষমা চাইতে হবে। এছাড়া ১০ বছরের জন্য জাবিতে খেলার ইভেন্ট অব্যহতি দিতে হবে।পাশাপাশি ভিডিও ফুটেজ দেখে এর সাথে জড়িতদের বহিষ্কার করতে হবে।এদিকে আন্দোলনের একপর্যায়ে ইবি প্রোক্টর ড.মোঃ আনিছুর রহমানের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়। উল্লেখ্য বুধবার বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যান্ডবল-২০১৯ এর সেমিফাইনালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে ইবির ১২ খেলোয়াড়সহ তিন শিক্ষক এবং ইবি ক্রীড়া বিভাগের পরিচালক ড. মোঃ সোহেল আহত হয়েছেন বলে ইবির ক্রীড়া বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।আহতদের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় কয়েকজনকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।আহতদের চিকিৎসা চলছে বলে জানা যায়। ইবি ক্রীড়া বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ সোহেলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি আহত থাকায় কথা বলতে পারেননি।
এ ব্যাপারে ইবি উপাচার্য ড. রাশিদ আসকারী বলেন,খেলার মাঠে একটি বর্বর হামলা।এই হামলার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই।আমরা বিচার চেয়েছি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।তারা যদি যথাযথ বিচার না করে আমরা ইউজিসি,শিক্ষা মন্ত্রনালয় এবং এ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটির কাছে বিচার চেয়েছি।জাহাঙ্গীরনগরে ইবি আর কখনও খেলতে যাবেনা।তারা খেলার মাঠের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।