শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাজেটের আগেই এমপিওভুক্ত করা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে একসঙ্গে কত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা যাবে তা বলতে পারছি না। পর্যায়ক্রমে শিক্ষকদের দাবি আইনগতভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দুদিন ধরে অবস্থান নিয়ে থাকা নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা তাদের এমপিওভুক্তির দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান। তারা বলছেন, সরকার দাবি পূরণের যে আশ্বাস গতবছর দিয়েছিল, তা আদায় না করে এবার তারা ফিরে যাবেন না। তারা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নতুন করে এমপিওভুক্ত করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন জমা হয়েছে ২০১৮ সালে। এই আবেদনের পর তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব জানিয়েছিলেন, এক হাজারের মতো নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা) এমপিওভুক্ত করা সম্ভব হবে।
যদিও ছয় হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নতুন এমপিও পাওয়ার জন্য আবেদন করে। অর্থ মন্ত্রণালয় যে বরাদ্দ অনুমোদন দেবে সেই হিসেবে এমপিও দেওয়া যেতে পারে এক থেকে দেড় হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে এখন পর্যন্ত কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেই এমপিওভুক্তির আওতায় নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, দাবি পূরণ না হলে লাগাতার আন্দোলন-কর্মসূচি চলবে। আমরা রাস্তায় অবস্থান নিয়েছি, রাস্তাতেই থাকবো। ২০১৮ সালের ১১ জুলাই, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও সাবেক শিক্ষা সচিবের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। দাবি পূরণ করা হবে বলে আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও কোনও অগ্রগতি দেখছি না।
তিনি বলেন, দেশে একাডেমিক স্বীকৃতি পাওয়া নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৫ হাজার ২০০। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত এমপিওভুক্ত করতে হবে। তা না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।