দেশ যতই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে চক্রান্ত ততই এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু।
মঙ্গলবার রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা থেমে নেই। সেদিক লক্ষ্য রেখে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে এই হোক আমাদের শপথ- চোখ কান খোলা রেখে আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাবে। দেশকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেবো।
তিনি বলেন, আজ দেশে অভাব নেই। গ্রামেও অভাব নেই। গ্রামীণ অর্থনীতি অত্যন্ত শক্তিশালী, সুতরাং দেশ এগিয়ে যাবেই।
তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন একটি নেতার নাম কেউ বলতে পারবে না, যেখানে একজন নেতার নির্দেশে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। এমন অদ্বিতীয় নেতাই ছিলেন বঙ্গবন্ধু। স্বাধীনতাবিরোধীদের ধারণা ছিল এই নেতাকে দাবায়ে রাখলেই জাতিকে দাবায়ে রাখা যাবে। তাই বঙ্গবন্ধু হত্যা কোনো ব্যক্তিকে হত্যা করা নয়, ঐক্যবদ্ধ বাঙালির চিন্তা-চেতনাকে হত্যা করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্যে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, সে কারণে পরবর্তীতে তারা জাতীয় চার নেতাকে হত্যা, সংবিধানের চারটি মূলনীতি মুছে ফেলা তথা স্বাধীনতার ইতিহাসকেই মুছে ফেলতে চেয়েছিল। এরপর ২১টি বছর পাকিস্তানি কায়দায় দেশ পরিচালিত হয়েছে। দেরিতে হলেও আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা জাতির জনকের কন্যাকে পেয়েছি। তার নির্দেশে পুনরায় জাতি ঐক্যবদ্ধ।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ) সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, সাবেক ত্রাণ ও পূর্ণবাসনমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন মায়া প্রমুখ।