রাস্তা ছাড়লো সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা

অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিয়ে আলোচনায় বসবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন।

আলোচনায় কী সমাধান আসে এবং তার ভিত্তিতে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা জানাতে বৃহস্পতিবার ( ২৫ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলন করবেন শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা কলেজ ক্যান্টিনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সংবাদ সম্মেলনের এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দিনের আন্দোলন কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেছেন সাত কলেজের আন্দোলনকারীরা। তারা রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার পর প্রায় তিন ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর সোয়া দুইটার দিকে নীলক্ষেত মোড়ে কর্মসূচি সমাপ্তের ঘোষণা দেন ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আবু বকর।

তিনি বলেন, আজকের মতো আমাদের কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করছি। এরপর আমরা প্রত্যেক সেশনে কী সমস্যা রয়েছে, সেগুলো লিখিত আকারে নিয়ে স্যারদের সঙ্গে কথা বলবো। স্যারদের সঙ্গে কথা বলে কী সিদ্ধান্ত পাওয়া যায় এবং আমরা পরবর্তীতে কী করবো, তা নিয়ে আগামীকাল সকাল ১০টায় ঢাকা কলেজ ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে জানাবো।

এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন ঢাবি প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সাত কলেজের সমস্যা সমাধানে দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান। তিনি শিক্ষার্থীদের আহ্বান করেন, তোমাদের সমস্যাগুলো আমরা শুনবো। আমরা ইতিমধ্যে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তারপরও যেসব সমস্যা থাকবে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের পথ বের করা হবে। কিন্তু ঢাবি প্রক্টরের আশ্বাসে বিশ্বাস রাখতে পারেননি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পড়ে ঢাবি প্রক্টর একপর্যায়ে তিনি নীলক্ষেত মোড় থেকে চলে যান। এরই কিছু সময় পর তিনি আবার নীলক্ষেত মোড়ে আন্দোলনকারীদের সামনে আসেন। কিছুক্ষণ আগে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, সেই কথাগুলোই আবার বলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেগুলো জানান। বক্তব্য শেষে আন্দোলনকারীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

প্রক্টর গোলাম রব্বানী চলে যাওয়ার পর আন্দোলনকারীদের পক্ষে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানান ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আবু বকর। তিনি বলেন, আজকে আমাদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ভিসি স্যারের পক্ষ থেকে প্রক্টর স্যার এসেছিলেন। তিনি কিছু সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। আমাদেরকে দশটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। এই দশ সিদ্ধান্তে আমাদের আংশিক সমাধান হয়েছে। বাকি সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য স্যাররা আমাদের বসে কথা বলার আহ্বান করেছেন। আমরা স্যারদের সঙ্গে বসব, কী সিদ্ধান্ত হয় তা সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) পাঁচ দফা দাবিতে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত মিরপুর সড়কের নীলক্ষেত ক্রসিং অবরোধ করে ঢাবির অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। প্রায় চার ঘণ্টা তারা মিরপুর সড়ক অবরোধ করে রাখেন। সেশনজটসহ বিভিন্ন অনিয়ম নিরসনে পাঁচ দফা দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর