বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী থেকে আসামি বনে যাওয়ার পর জামিনে মুক্ত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। মামলার পরবর্তী তারিখ হাতের নাগালে থাকায় তাকে ভালো কোনো হাসপাতালে ভর্তি করা যাচ্ছে না।তাই বাড়ীতেই চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন মিন্নি। কারামুক্ত মিন্নির সঙ্গী এখন শারীরিক অসুস্থতা। একপ্রকার মানসিক ভারসাম্যহীন হিসেবে বাবার বাড়িতে জীবনযাপন করছেন তিনি।
মিন্নির স্বজনরা বলছেন, সদা হাস্যোজ্জ্বল, চঞ্চল মিন্নি এখন ভুগছেন একাকিত্বে। স্বামী রিফাত শরীফের স্মৃতিতে বিষণ্নতা নিয়ে একাকি ঘরে দিন কাটে মিন্নির।
মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, দুই হাঁটুতে কালো দাগ রয়েছে মিন্নির। হাঁটুর ব্যথায় হাঁটতে পারে না সে। চঞ্চল ও সদালাপী মিন্নি এখন কারও সঙ্গে কথা বলে না। খেতে চায় না কিছুই। শুধু মিন্নি আর নিহত রিফাত এই বাড়িতে এলে যে কক্ষে থাকতেন সেখানে গিয়ে বারবার হাউমাউ করে কাঁদছেন।
তিনি আরো বলেন, আদালতের হাজিরার পর মিন্নির উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করব। আপাতত চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতে মিন্নির চিকিৎসা চলছে।
প্রসঙ্গত, বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে দুই শর্তে জামিন মঞ্জুর করা হয়েছেআর তা হলো হাইকোর্ট থেকে পাওয়া জামিনের শর্তানুযায়ী গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো ধরনের কথা বলতে পারবেন না মিন্নি।এবং তাকে থাকতে বাবা মোজাম্মেল হক কিশোরের জিম্মায়।
বার্তাবাজার/এএস