ছুটি পেলেই দেশে ফিরব। মেয়েদের জন্য আনব কাপড় ও জুতো। তোমার জন্য আনব নামী কোম্পানির প্রসাধনী।’ গত ২৪ আগস্ট বিকেলে মুঠোফোনে স্বামীর সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল ইয়াসমিন আক্তারের। এরপর দিন খবর আসে স্বামী মোহাম্মদ রফিক (৩৩) আর নেই। ইয়াসমিনের আনন্দের সব রং যেন মুহূর্তেই ফিকে হয়ে যায়।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মারা যায় মোহাম্মদ রফিক। মৃত রফিকের গ্রামের বাড়ি কাথারিয়ার ইউনিয়নের বাগমারা এলাকায়।
ওমানের মাসকাটে কর্মস্থলে কাজ করা সময় টাইলসের বিশাল স্তূপের নিচে চাপা পড়ে মারা যান রফিক। ২৫ আগস্ট ওমানে মারা গেলেও আইনি জটিলতার কারণে লাশ বাঁশখালীতে পৌঁছেছে গতকাল বুধবার দুপুরে।
মারা যাওয়া রফিকের বাড়িতে গতকাল দেখা গেছে, পুরো পাড়ায় যেন শোকের মাতম। প্রতিবেশীরা ভিড় করেছেন রফিকের বাড়িতে। দূরদূরান্ত থেকে খবর পেয়ে পরিচিতেরাও এসেছেন। সবার অপেক্ষা রফিককে একনজর দেখা। স্বামীর কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন ইয়াসমিন। ‘আমি বড় একা হয়ে গেলাম’ বলে বিলাপ করছিলেন।
স্বজনেরা জানান, চার ভাই এক বোনের মধ্যে সবার বড় রফিক। চার বছর আগে ওমান পাড়ি জমান পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে। এরপর আর দেশে ফেরা হয়নি। বলতে গেলে পরিবারের সব ভরণপোষণ রফিকের হাতেই ছিল। সংসারে আট ও চার বছর বয়সের দুই মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আনছার বলেন, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গতকাল সকাল নয়টায় লাশ এসে পৌঁছায়। লাশ বাঁশখালী আনতে বিমানবন্দরে গিয়েছেন পরিবারের লোকজন। লাশ আসার পর বেলা দুইটার দিকে জানাজা শেষে লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বার্তাবাজার/এএস