১৪০ বছর হলেও বয়স্ক ভাতা পাওয়ার বয়স হয়নি তার

গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে প্রবীণ ব্যাক্তি আব্দুস ছোবাহান মুন্সী ১৪০ বছর বয়সেও পাচ্ছেন না বয়স্ক ভাতা। অসহায় হত দরিদ্র মানুষটি আজ বয়সের ভারে শয্যাশায়ী। এই দারিদ্র ব্যক্তি সরকারিভাবে এখনও পাননি কোন সুযোগ সুবিধা।বয়স্কভাতার নাম চাইলে ইউ’পি চেয়ারম্যান, মেম্বরদের টাকা না দিলে নাম দেন না, এমনটাই বলছেন এই বৃদ্ধা।

ছোবাহান মুন্সী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের জীবনপুর গ্রামের মৃত-খাঁন মাহমুদ মুন্সীর ছেলে।পরিবারের দাবি ১৪০ বছর বয়স হয়েছে তার।

জীবনের শেষ সময়ে ছেলে মেয়ে এবং নাতিরা তার খোঁজখবর রাখছেন। এ বয়সে কথা না বলতে পারলেও ফিস ফিস করে বললেন, ইউ’পি চেয়ারম্যান, মেম্বরদের টাকা না দিলে ভাগ্যে জোটেনা বয়স্ক ভাতার কার্ড।

মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মুন্সী রেজুওয়ানুর রহমান বলেন, জেলার সবচাইতে বয়সে প্রবীণ ব্যাক্তির এই পরিবারটি আওয়ামী লীগের পরিবার। আওয়ামী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বয়স্ক ভাতা থেকে এ প্রবীণ ব্যাক্তিকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

এ পরিবারটির দাবী অনেক চেয়ারম্যান, মেম্বরকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলেও তারা সরকারের কোন সহযোগিতা পায় না। ভাতা কার্ডের কথা চেয়ারম্যান, মেম্বরের কাছে বললে টাকার বিষয় আসে। তবে টাকা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন দেশে ভাতার কার্ড নিতে চান না ছোবাহান মুন্সী।

এলাকার সচেতন মহল প্রবীণ এ ব্যাক্তিকে বয়স্ক ভাতা কার্ডের আওতায় নিয়ে আসার জন্য উপজেলা ও জেলার সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর