শুরুতেই বাজিমাত করলেন খালেদ হোসেন

এবার ‘বেপরোয়া’ ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় খলঅভিনেতা হিসাবে অভিষেক ঘটলো এ সময়ের জনপ্রিয় মডেল খালেদ হোসেন সুজন। এই ছবিটি নির্মাণ করেছেন কলকাতার নির্মাতা রাজা চন্দ। আর ছবিটি প্রযোজনা করেছে জাজ মাল্টিমিডিয়া।

‘বেপর‌োয়া’ ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববি ও নায়ক রোশান। এই ছবিটি ঈদের প্রথম সপ্তাহে ৫৩টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। নতুন খবর হচ্ছে, দিত্বীয় সপ্তাহে আরও হল বাড়বে বলে জানিয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া।

এই মধ্যে ‘বেপরোয়া’ ছবিটি দর্শক মহলে দারুণ ভাবে আলোচিত ও প্রশংসিত হতে শুরু করেছে। এই ছবিটি দেখার পর দর্শকরা বলছেন, প্রথম ছবি দিয়েই বাজিমাত করেছেন নবাগত খলঅভিনেতা খালেদ হোসেন। এছাড়াও ‘বেপরোয়া’ ছবিটি হবে খালেদ হোসেনের ক্যারিয়ারে শ্রেষ্ঠ ছবি। এজন্য এই ছবিটি নিয়ে অনেক আশাবাদী খালেদ হোসেন নিজেও।

‘বেপরোয়া’ ছবি থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন জানতে চাইলে খলঅভিনেতা খালেদ হোসেন বলেন, ‘খুবই ভালো। যারা ‘বেপরোয়া’ ছবিটি দেখছেন তাঁরাই ছবিটির প্রশংসা করছেন। এজন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। ভালো গল্প, অভিনয়, লোকেশন, গান এমন অনেক ভালোর সমন্বয় ‘বেপরোয়া’ ছবি।’

তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তির আগে থেকেই দর্শকের মধ্যে ছবিটি নিয়ে আগ্রহ ছিল। এছাড়াও যতই দিন যাচ্ছে ততই যেন ছবিটি নিয়ে দর্শকদের মাঝে আগ্রহও বাড়ছে। প্রেক্ষাগৃহেও তার প্রতিফলন দেখা যায়। মাল্টিপ্লেক্স থেকে যে কোনো হলে সবখানেই দর্শকের ভিড় দেখা যাচ্ছে। এখনও সাফল্যের সঙ্গে ছবিটি সারাদেশের প্রেক্ষাগৃহে চলছে। আশা করি, দিত্বীয় সপ্তাহে আরও হল বাড়বে।’

নিজেকে প্রথমবার বড়পর্দায় দেখতে কেমন লেগেছে? জানতে চাইলে খলঅভিনেতা খালেদ হোসেন বলেন, ‘খুবই ভালো। আমি সত্যিই ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। সবথেকে বড় কথা হচ্ছে দর্শকরা আমাকে সুন্দর ভাবেই গ্রহণ করেছেন। তার প্রমাণ গতকাল পেলাম। আমি ও ‘বেপরোয়া’ টীম বেশ কয়েক সিনেমা হলে গিয়েছি দর্শকদের সাথে ছবিটি দেখতে। সব কয়েকটি হলেই অনেক মানুষ ছিল। সবাই আমাকে বলছে, ভাই আপনি অনেক সুন্দর অভিনয় করেছেন। এটা শুনার পর আমার মনটা ভরে গেল। আশা করি, সামনে দর্শকদের জন্য আরও ভালো ভালো কাজ করব।’

বড়পর্দায় নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছে আছে? জানতে চাইলে অভিনেতা খালেদ হোসেন বলেন, ‘অবশ্যই, বড়পর্দায় নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছে আছে। এর মধ্যে আমার দ্বিতীয় ছবি ‘বিশ্বসুন্দরী’র কাজ চলছে। এক লটের শুটিং করেছে। চরিত্রটা আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। শুটিংটা হয়েছে ফরিদপুরে। আশা করি, এই ছবিতে দর্শকরা আমাকে নতুন রূপে পাবেন।’

উল্লেখ্য, খলঅভিনেতা খালেদ হোসেনের বাবা মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন চৌধুরী। তার দুই সন্তানের মধ্যে সবার ছোট সুজন। ১৯৯৭ সালে ‘কেপেসকো শো-তে র‌্যাম্প মডেলিংয়ের মাধ্যমে তার যাত্রা শুরু। তারপর তিনি বিবি রাসেল ও ইমদাদ হকের মতো ব্যক্তিদের সাথে কাজ করার সুযোগ পান। এছাড়াও তিনি একাধিক টেলিফিল্ম, বিলবোর্ড বিজ্ঞাপনসহ ১০০০ ফ্যাশন শো ও ৫০টি বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে অভিনয় করেছেন।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর