কাশ্মীর ইস্যুতে রাশিয়ার সমর্থন পেল মোদি সরকার

কাশ্মীর ইস্যুতে এবার ভারতের পাশে দাঁড়াল বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়া। কাশ্মীরের সাংবিধানিক মর্যাদা কেড়ে নেয়ার বিষয়টিকে ভারতের বৈধ পদক্ষেপ এবং সাংবিধানিক অধিকার বলছে দেশটি।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানায়, শুক্রবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জম্মু- কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রাজ্যটিকে ভাগ করার সিদ্ধান্ত ভারতীয় গণতন্ত্রের সংবিধানিক কাঠামো মেনেই করা হয়েছে।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, মস্কো প্রত্যাশা করছে যে কাশ্মীর সিদ্ধান্তের ফলস্বরূপ ওই অঞ্চলে কোনও পক্ষই অপ্রীতিকর কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে না। রাশিয়া সব সময়েই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সুষ্ঠু সম্পর্কের পক্ষে প্রত্যাশা করে আসছে।

রাশিয়ার ওই বিবৃতিতে উঠে এসেছে লাহোর চুক্তি ও শিমলা চুক্তির কথাও। তাতে বলা হয়েছে, আমরা আশা করব, শিমলা চুক্তি ও লাহোর ঘোষণাপত্র মেনে দুই দেশ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে তাদের যাবতীয় দ্বন্দ্বের নিরসন ঘটাবে।

গত সোমবার ভারতের হিন্দুত্ববাদী মোদির সরকার ১৯৫৪ সালে জম্মু- কাশ্মীরকে দেয়া বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে নিয়ে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে এবং ওই রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে বিভক্ত করে।

এনিয়ে বিক্ষোভ ঠেকাতে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে হিমালয় অঞ্চলটির সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী সরকার সোমবার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের ঘোষণাকে সামনে রেখে কাশ্মীরের ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।

এই মুহূর্তে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর বিশ্বের সবচেয়ে সামরিকীকৃত এলাকায় পরিণত হয়েছে। সেনাবাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী ও পুলিশ সদস্য মিলিয়ে সেখানে ৭ লক্ষাধিক নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে ভারত।

অস্থায়ী কারাগার বানানো হয়েছে হোটেল, গেস্ট হাউস, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ভবনকে। কাশ্মীরের পুরো উপত্যকাটি যেন পরিণত হয়েছে একটি কারাগারে।

বার্তা বাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর