বিয়ে করে যৌনদাসী হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে স্ত্রীদের!

বিয়ে করে নারীদের চীনে পাচারের মতো এক নতুন সংকটের মুখে পড়েছে পাকিস্তান। চীনা পাত্ররা পাকিস্তান থেকে খ্রিস্টান নারীদের বিয়ে করে দেশে নিয়ে বাধ্য করছে যৌন কাজে। আর এ কাজে সহায়তা করছে স্থানীয় দালালচক্র। ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফেরা নারীরা তাদের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে অন্যদের রক্ষায় উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

চীনা পাত্র আর পাকিস্তানি পাত্রী, ইসলামাবাদে বিভিন্ন চার্চে প্রতিনিয়ত দেখা মেলে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ের আয়োজন। বিশ্বের বৃহৎ জনসংখ্যার দেশ চীনে এক সন্তান নিতে অনুপ্রাণিত করা হয়। বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশটির বিবাহযোগ্য পুরুষের জন্য পাত্রী সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় পাকিস্তানি খ্রিস্টান নারীদের আর্থিক স্বচ্ছলতার লোভ দেখিয়ে বিয়ে করছে চিনা পাত্ররা।

এই সুযোগে প্রলোভনের আড়ালে চলছে নারী পাচার। বিয়ে করে নিজ দেশে নিয়ে বানানো হচ্ছে যৌনকর্মী। ভয়াবহ সেই অভিজ্ঞ কথা তুলে ধরেছেন ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া কয়েক নারী।

এ ব্যাপারে নাতাশা মাসিহ নামের এক নারী বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার স্বামী আমাকে মারধর করত। চীনে যাওয়ার সাথে সাথে আমার পাসপোর্ট কেড়ে নেয়। যাতে আমি না পালাতে পারি। তার দাবি সে পাকিস্তান থেকে আমাকে কিনে নিয়েছে। বিয়ের পর থেকেই প্রতিদিন বিভিন্ন পুরুষ দিয়ে আমাকে ধর্ষণ করাত আমার স্বামী।

সুমাইরা নামের অপর এক নারী বলেন, সাত দিন পর যখন বাড়িতে ফিরে আসি তখন আমি আমার ভাইয়ের সাথে চিৎকার করেছিলাম। জানতে চেয়েছিলাম কেন আমাকে বিক্রি করে দিয়েছিল। কত টাকা পেয়েছিলেন। আমার সাথে কি কি হয়েছে তা যদি সবার কাছে তুলে ধরি তাহলে হয়তো পাকিস্তানের অন্য মেয়েদের রক্ষা করা সম্ভব। আমি চাই না অন্য কোন মেয়ের জীবনে এমন টা ঘটুক।

সম্প্রতি পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত পাকিস্তানের এক হাজার নারীকে। তবে মোটেও সহজ ছিল না সেই অভিযান পরিচালনা করা। উদ্ধারকৃতদের চাওয়া যেকোন মূল্যে বন্ধ করতে হবে নারী পাচার। আর উদ্ধার করতে হবে বেইজিংয়ে নির্যাততিত পাকিস্তানী নারীদের।

বার্তাবাজার/আরএইচ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর