করজোড়ে ক্ষমা চাইলেন মির্জা ফখরুল

বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ‘মুক্তিযোদ্ধা গণ সমাবেশ’ এর অনুষ্ঠানে দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমের বক্তব্য চলাকালে সভার শৃঙ্খলাবিচ্যুতি ঘটে। এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের স্লোগান থামাতে বলেন। পরে মাইক নিয়ে বলেন, আমি অনুরোধ করতে চাই। প্লিজ প্লিজ। এক পর্যায়ে দাড়িয়ে বলেন, শোনেন ভাই আপনারা শোনেন। এই যে শ্রমিক দল, এই যে শ্রমিক দল। এটা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুষ্ঠান। ভাবগাম্ভীর্যের বিষয়। আপনারা পরিবেশ নষ্ট করবেন না। আপনারা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বসতে দিন। আপনারা প্রয়োজনে বাইরে গিয়ে দাঁড়ান।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘মুক্তিযোদ্ধা গণ সমাবেশ’ করে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মেজর হাফিজ বক্তব্য অব্যহত রাখেন। কিন্তু নেতাকর্মীরা চিৎকার চেচামেচি এবং স্লোগানে বক্তব্য দিতে সমস্যা হচ্ছিলো। বিএনপি মাহাসচিব আবারো থামতে বলেন। কেউ থামছিলেন না। একপর্যায়ে তিনি নেতাকর্মীদের কাছে দুহাত করোজোর করে থামতে বলেন। কিছু সময় চুপ থাকলে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। মঞ্চের দুই পাশে নেতাকর্মীরা কথা বলতে থাকেন। সভার শৃঙ্খলা ফেরাতে এবার বিএনপি মহাসচিব নিজে চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে তাদের সরিয়ে দেন। মিনিট দশেক পর আবারো নেতাকর্মীরা অশান্ত হয়ে উঠে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম রেগে যান। চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে নেতাকর্মীদের মঞ্চের পেছন থেকে সরিয়ে দেন।

মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্য চলাকালে তিনি বলেন, ‘গুলশানে বালুর ট্রাকের ওখানে গিয়ে স্লোগান দেন।’ সারাদেশ থেকে আগত মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতারা বসার জায়গা পাচ্ছিলেন না। সঞ্চালনার দায়িত্বে থাকা মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের চেয়ার খালি করে বসার জায়গা করে দেন।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক যখন বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তখনো শ্লোগান বিশৃঙ্খলা চলে, ফারুক তার বক্তব্য চলাকালে বলেন, ‘আপনারা কি শ্লোগান বন্ধ করবেন না? প্লিজ, প্লিজ।’ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন,’এই স্লোগান দিও না’।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের বক্তব্য চলাকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চেয়ার থেকে উঠে ডায়াসের পিছনে পরিষ্কার করতে দাঁড়িয়ে থাকা নেতাদের সরিয়ে দেন।

বার্তাবাজার/এম আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর