জাপান নেয়ার প্রলোভনে বিয়ে, ৭ দিন পর লাপাত্তা

জাপান নেয়ার লোভ দেখিয়ে বিয়ের ৭ (সাত) দিন সংসার করার পর জামাতা তানজির খানের লাপাত্তা হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটে পিরোজপুর সদর উপজেলায়।

জানা গেছে, ফেসবুকের মাধ্যমে পিরোজপুর সদর উপজেলার তানিয়ার (ছদ্ম নাম) এর সাথে ২০২২ইং সালের জানুয়ারীতে জাপান প্রবাসী তানজির খানের পরিচয় হয়। তানজির খান কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত দেবীদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের খান বাড়ির হারুন খানের ছেলে। তানজির খানের সাথে পরিচয়ের পর থেকে কথা বলতে বলতে উভয়ই উভয়ের প্রেমে পরে যায়। এভাবে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো প্রায় ৬ মাস।

এরপর তার পরিবারকে না জানিয়ে সে দেশে এসে গেল বছরের ১৮ই জুন গোপনে তানিয়াকে বিয়ে করে। বিয়ের বিষয়টি হবু স্ত্রী তানিয়াকে গোপন রাখতে বললে হবু স্বামীর কথা অনুযায়ী সে গোপন রাখে। তবে তানজিরের পরিবার তাদের সম্পর্কের বিষয়টি জেনে বিয়ে ঠিক করে রাখে। তার আগেই তানজির গোপনে এসে বিয়ে করে ফেলে। বিয়ের ৭ দিনের মাথায় তানজির আবার জাপান পারি জমায়। বিয়ের আগে তানিয়ার সাথে প্রতিদিনি কথা বললেও বিয়ের পর জাপান ফেরত যাবার পর হবু স্ত্রী তানিয়ার সাথে মাঝে মাঝে যোগাযোগ রক্ষা করতে থাকে। এক পর্যায়ে কথা বলা একেবারেই বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি মেনে নিতে না পারায় তানিয়া তানজিরের বড় বোন তাহমিনাকে বিয়ের কথা সব খুলে বললে তিনি আপাতত চুপ থাকতে বলে।

তার বোন আরো বলে, তানজিল দেশে আসলে আবার পারিবারিকভাবে তোমাদের দুজনকে বিয়ে করাবো বলে মিথ্যা শান্তনা দেয়। কিন্তু পরে জানা গেছে বিয়ের পর অন্য মেয়ের সঙ্গেও কথা বলে তানজির। বিষয়টি আবারো বোন তাহমিনাকে জানালে তিনি বলে, ও মেয়েদের সাথে কথা বললে তুমিও ছেলেদের সাথে কথা বল। এটা বললে তানিয়া একদিকে যেমন ধৈর্য্য ধারন করতে থাকে অন্যদিকে তার চোখের জল গড়িয়ে পরতে থাকে। যার নিরব স্বাক্ষী একমাত্র বিছানার বালিশ।

কিন্তু অনুসন্ধান করে জানা গেছে, তানজির শুধু একটা বিয়ে নয় তানিয়াকে বিয়ের আগেও তার আরো ৩টি বিয়ে রয়েছে। তবে ৩ নাম্বার বউ চলে যাওয়ার পর তানিয়াকে জাপান নেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করে। যা ফতেহাবাদ গ্রামের অধিকাংশ লোকই জানে। সেটা জানার পর তানিয়া মানুষিকভাবে একেবারে ভেঙ্গে পরে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়। এলাকার লোক লজ্জার ভয়ে বাসা থেকে বের হতে ‍পারছেনা।

এ বিষয় ‍তানিয়ার কাছে জানতে চাইলে সে জানায়, আমার স্বামীর আগে ৩টি নয় ৫টি বিয়ে থাকলেও আমি তার সাথে সংসার করতে ইচ্ছুক। ওর সাথে সংসার করতে না পারলে আমার আত্মহত্যার পথ ছাড়া আমার কিছুই থাকবে না। বিষয়টি নিয়ে তানজিরের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে তারা সম্পূর্ণ বিষয়টি অস্বীকার করে।

বিষয়টি নিয়ে তানজিরের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে তারা সম্পূর্ণ বিষয়টি অস্বীকার করে। এ ব্যাপারে ফতেহাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মাসুদের কাছে শনিবার (২৫ মার্চ) বিকেলে এ প্রতিবেদক জানতে চাইলে তিনি জানান, তানজিরকে আমি চিনি। ওর আগে বিয়ে ছিল। তবে বর্তমান বিয়ের কথা আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পেলে আমি আলোচনা করে দেখব কি করা যায়।

বার্তা বাজার/জে আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর