পীরগঞ্জে এক চাকুরীজীবি পরিবার নিরাপত্তাহীনতায়

অমূল্য চন্দ্র রায়। প্রায় এক যুগ ধরে চাকুরী করেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘পিএইচটি ষ্টীল কমপ্লেক্স’ চট্রগ্রামে। স্ত্রী অঞ্জলী রাণী নিজ গ্রাম সংলগ্ন ‘ছোট্ট মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। অমূল্য অঞ্জলী দম্পতির সংসারে এক মেয়ে দশম শ্রেণি ও এক ছেলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ছে। চাকরীর সুবাদে অমূল্য চন্দ্রকে যেমন প্রায়ই কর্মস্থলে থাকতে হয়, তেমনি ছেলে-মেয়েকে নিয়ে স্ত্রী অঞ্জলীকেও বাসা বাড়ী ছেড়ে দিনের সিংহভাগ সময় (ছুটির দিন ব্যতিত) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই কাটাতে হয়।

অমূল্য চন্দ্র রায় ও অঞ্জলী রাণী রায় দম্পত্তি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের করঞ্জাগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা।

শনিবার (২৫ মার্চ) বিকালে ওই দম্পত্তি অভিযোগ করে বলেন, জমি জমা সন্ক্রান্ত বিষয়ে আপন ভাইদের সঙ্গে বিরোধ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এলাকার কিছু টাউট শ্রেণীর লোক আমার পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে।

গত ১৪ মার্চ সকালে পাওনা টাকা চাইতে আমাদের স্কুল পড়ুয়া ছেলে নিক্কন চন্দ্র রায় (১১) তার ব্যবহৃত বাইসাইকেল নিয়ে প্রতিবেশী মৃত খগেন্দ্র নাথের পুত্র মুকুল চন্দ্র রায়ের বাড়িতে যায়। মুকুল চন্দ্র পাওনা টাকা না দিয়ে কৌশলে সময় ক্ষেপণ ও বাইসাইকেলটি লুকিয়ে রাখে। স্কুলের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে মর্মে নিক্কন ও তার শিক্ষিকা মা অঞ্জলী রাণী অনেক আকুতি মিনতির পর মুকুল চন্দ্রের বাড়ির পিছন থেকে বাইসাইকেলটি উদ্ধার করে। এ সময় উভয়ের মধ্য বাকবিতন্ডা হলেও অঞ্জলী রাণী যথা সময়ে ছেলে নিক্কনকে স্কুলে রেখে তার নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন।

স্কুল শেষে বাড়িতে এসে অঞ্জলী রাণীর চোখ ছানাবড়া। বাড়ির সীমানা প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে লোহার দরজা ও ঘরের তালা ভেঙ্গে ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারের তালা ভেঙ্গে ৫০ হাজার টাকা এবং ষ্টীলের ট্রাংকের তালা ভেঙ্গে লেদার বাক্সে রক্ষিত ২ ভরি স্বর্ণালংকার কে বা কারা দিনদুপুরে চুরি করে নিয়ে যায়। বিষয়টি তার স্বামী অমূল্য চন্দ্রকে জানায়। স্বামীর নির্দেশে অঞ্জলী রাণী রায় ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে এসআই শাহানুর ইসলাম বিষয়টি তদন্ত করে ফেরার পর প্রতিপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।

অসহায় চাকুরীজীবি দম্পতি জানায়, ক্ষিপ্ত মুকুল চন্দ্র (৫০), সুনীল চন্দ্র (৪৬), সুজয় চন্দ্র (৩৫), জিতিশ চন্দ্র (৩২) ও নয়ন চন্দ্র (৩০) বিভিন্ন লোকজনের নিকট হুমকী ধামকি দিয়ে বলছেন, অমূল্য ও তার পরিবারকে সুযোগ পেলে মারডাং, মিথ্যা মামলাসহ গ্রাম থেকে বিতাড়িত করা হবে। এ বিষয়ে অমূল্য চন্দ্র পরিবার পরিজন নিয়ে ভীতসন্ত্রস্ত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহানুর ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বার্তাবাজার/এম আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর