পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে হঠাৎ করেই গত তিন দিনের ব্যবধানে জয়পুরহাটের কাচাবাজারে প্রতিটি সবজীর দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫-২০ টাকা পযন্ত। যার প্রভাব পড়েছে সাধারন মানুষের উপর।
জয়পুরহাটের নতুনহাট বাজার, সাহেব বাজার, পূর্ববাজার এলাকার কাচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত তিন-দিন আগেও যেই বেগুনের দাম বিক্রি ছিল ৩০-৩৫ টাকা আজ সেই বেগুনই বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, করলা বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়, তিনদিন আগেও যার দাম ছিল ৫৫-৬০ টাকা কেজিতে।
পোটল বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায় যার দাম ছিল ৪৫-৫০ টাকা, সাজিনা বিক্রি হচ্ছে৭০- ৮০ টাকা যার দাম ছিল দুদিন আগে ৬০-৬৫ টাকায়, লেবুর হালি বিক্রি হয়েছে তিনদিন আগে ২০ টাকা আজ সেই লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়, মিষ্টি লাউ বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজিতে তিনদিন আগেও যার দাম ছিল ২০-২৫ টাকায়।
নতুনহাটে মিষ্টি লাউ বিক্রি করতে জয়পুরহাট সদর উপজেলার জামালপুর গ্রামের কৃষক আ: হামিদ বলেন , তিনি মিষ্টি লাউ পাইকারী বিক্রি করেছেন ১০ টাকা কেজি দরে, অথচ খুচরা বাজারে সেই লাউ বিক্রি করছে ২৫-৩০ টাকা দামে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমরা কৃষকরা নায্য দাম পাই না, আমাদের কাছ থেকে কিনে তারা কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করে।
তিনি বলেন আমরা কৃষকরা ফসল উৎপাদন করেও যেই লাভ পাইনা তার চেয়ে বেশি লাভ করে খুচরা বিক্রেতারা।
জয়পুরহাট নতুন হাট বাজারের খুচরা বিক্রেতা জাহেদুল ইসলাম বলেন, গত দু-তিন দিন আগেও করলা, বেগুন, পোটল, টমেটো,শসা, মিষ্টি লাউ, পেঁপে, কাঁচা মরিচ,যে দামে বিক্রি করেছি তারচেয়ে প্রতিটি জিনিস ১০ থেকে ১৫ টাকা করে বেশি দামে বিক্রি করছি।
তিনি বলেন পাইকারি কিনতে বেশি হওয়ায় আমরা বেশি দামে বিক্রি করছি।
কাঁচা বাজার করতে আসা সানি হাসান বলেন কয়েকদিন আগেও আমি বাজারে করেছি, তার চেয়ে আজকে প্রতিটা জিনিসের দাম বেশি। তিনি আরো বলেন এভাবে যদি দাম বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে আমরা সাধারন মানুষেরা এই রমজান মাসে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো
এই ব্যাপারে জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী বলেন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে । প্রয়োজনে বাজার মনিটরিং আরো বৃদ্ধি করা হবে ।
বার্তা বাজার/জে আই