পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুরে ইমাদ পরিবহন দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহতের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিন কারণ শনাক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক কত্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি।
বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে তদন্ত কমিটির প্রধান মাদারীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এছাড়া তদন্ত কমিটি ১৪টি সুপারিশ করেছে দুর্ঘটনা রোধে এর মধ্যে সকল পরিবহনে সিট বেল বাধার ব্যবস্থা গ্রহণ করা উল্লেখ্যযোগ্য।
মাদারীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরার নেতৃত্বে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির সদস্য মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ফকির (পিপিএম), বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক শাহনেওয়াজ হাসানাত-ই-রাব্বি, মাদারীপুর বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হোসেন ছাড়াও বুয়েটের একটি প্রতিনিধি দল কার্যক্রম শুরু করেছে। কমিটি প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় দোকানদারসহ অনেকের সাথে কথা বলেন। এছাড়াও কমিটি দূর্ঘটনাকবলিত বাস, হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান মাদারীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরা বলেন, তিনটি কারনে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ১ম কারন গাড়ীর গতিসিমা ও গাড়ীর ফিটনেস ছিল না, ২য় কারন চালকের যে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল মিডিয়াম গাড়ী চালানোর কিন্ত সে চালিয়েছে ভাড়ী চান এবং ৩নং কারণ প্রাকৃতিক দুর্ঘটনার আগে বৃষ্টির কারনে সড়ক ভিজে ছিল।
উল্লেখ্য, রবিবার ভোররাতে খুলনা থেকে যাত্রী বোঝাই করে ইমাদ পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৫-৩৩৪৮) ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। বাসটি গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়া থেকে ১৫ জন যাত্রী তুলে। পদ্মাসেতুর আগে ঢাকা-খুলনা এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর সিমানা এলাকায় আসলে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। বাসটি এক্সপ্রেস হাইওয়ের নীচের আন্ডারপাসের গাইড ওয়ালের সাথে ধাক্কা লেগে দুমড়েমুচড়ে যায় বাসটি। এতে ঘটনাস্থলেই ১৪ জন নিহত হয়। এ দুর্ঘটনায় অন্তত ১৫ জনকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার পর আরো ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বার্তাবাজার/এম আই