স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া, একে অপরকে ‘ছেলেধরা’ বলে চিৎকার

শিরোনাম দেখে অনেকে হয়ত হাসছেন।কিন্তু এ যে হাসার নয়।এ যে বড় অবক্ষয়। সুযোগ কাজে লাগাতে ওতপেতে বসে থাকেন আপনি, আমি এমন কি সবাই।তা না হলে কেন এমন? আর না হয় মানবিকতার চরম অবক্ষয় হয়েছে এটা তো বলা যায়?এক গুজবে কত কি না ঘটছে।যে কারো জন্য চলাফেলা এখন খুব দুষ্কর।মনে হয়, সামনে হাঁটলেই মনে হয় পেছন থেকে কেউ ঝাপটে ধরছে!বলা যায়, ধরছে।কারণ খুব কাছে থাকা মানুষটাও যখন হয়ে উঠে আহতে হিংস্র বাঘ।তাহলে আর ধরছে না যে সেটা বলি কেমনে!

পাঠক, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার সময় একজন আরেকজনকে ‘ছেলেধরা’ বলে চিৎকার মেরেছে।যে লক্ষ্যে তারা চেঁচামেচি করেছেন সেটা সফল হয়েছে। গণধোলাই খেয়েছে দুজনই।

গতকাল মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) সকালে গাজীপুরের শ্রীপুরের নয়নপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে স্ত্রী প্রিয়া ও তানিয়াকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এদিকে গণপিটুনির সময় দৌড়ে পালিয়ে যায় স্বামী মেহেদী হাসান। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রিকশায় ওই দম্পতি নয়নপুর যাচ্ছিল। তাদের সঙ্গে থাকা তানিয়া ঝগড়া মেটাতে বারবার চেষ্টা করছিল। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতেও রূপ নেয়।

স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে করাকে কেন্দ্র করে এ ঝগড়া হয় বলে জানান স্ত্রী প্রিয়া। এ অবস্থায় রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ‘ছেলেধরা-ছেলেধরা’ বলে চিৎকার শুরু করেন স্ত্রী। তখন স্বামীও স্ত্রীকে ইঙ্গিত করে ‘ছেলেধরা-ছেলেধরা’ চিৎকার করতে থাকেন।
চিৎকার শুনে আশপাশে থাকা লোকজন দৌড়ে আসে। পরে কিছু বুঝে উঠার আগেই তাদের গণপিটুনি দেয় জনতা। গণধোলাইয়ের একপর্যায়ে পালিয়ে যান স্বামী মেহেদী।

শ্রীপুর থানার ওসি মো. লিয়াকত জানান, ছেলেধরা বলতে আসলে কিছু নেই। স্বামী মেহেদী হাসান ও স্ত্রী প্রিয়ার ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী ছেলেধরা চিৎকার করলে স্থানীয়রা তাদের ওপর চড়াও হন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে প্রিয়া ও তানিয়াকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

প্রিয়ার বাড়ি শ্রীপুরের বেড়াইদেরচালা। তার বাবার নাম মুক্তিযোদ্ধা এবিএম তাজউদ্দিন।

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর