বিশ্বকাপ নিয়ে সাবেক কিউই তারকার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

হলফ করে বলা যায়, এমন নাটকীয় ফাইনাল এর আগে দেখেনি ক্রিকেটবিশ্ব। একশো ওভারের শেষে ম্যাচ টাই। সুপার ওভারেও ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়নি। শেষ মেশ বেশি বাউন্ডারি মারার জন্য বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হল ইংল্যান্ড।এমন ভুতুড়ে নিয়মের জন্য আইসিসির সমালোচনা করেছেন নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি স্কট স্টাইরিশ। সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারের তিনি লেখেন, খুব ভালো কাজ করেছ আইসিসি, তোমরা হাস্যকর।

নিউজিল্যান্ডের ২৪১ রান তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে জেতার জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৫ রান। ট্রেন্ট বোল্টের ওভারের প্রথম দুটো বলে রান নিতে পারেননি বেন স্টোকস। পরের বলেই ছক্কা হাঁকান তিনি। তার পরের বলটি মিড উইকেটে পাঠিয়ে দু’ রান নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে দৌড়ন স্টোকস।গাপটিলের ছোড়া বল স্টোকসের ব্যাটে লেগে চার হয়ে যায়। ইংল্যান্ডের হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল ম্যাচ। দু’ বলে ১২ রান পাওয়ায় জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করে ইংল্যান্ড। শেষ দু’ বলে জেতার জন্য ইংল্যান্ডের দরকার তখন তিন রান।

বোল্টের পরের বলে রান আউট হয়ে যান রশিদ। ফলে শেষ বলে জেতার জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ২ রান। বোল্টের বল মেরেই দু’ রান নেওয়ার জন্য দৌড়ন স্টোকস। কিন্তু মার্ক উড রান আউট হয়ে যাওয়ায় ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।

স্নায়ুক্ষয়ী সব মুহূর্ত পেরিয়ে ম্যাচ চলে গেল সুপার ওভারে। সুপার ওভারেও কী টান টান উত্তেজনা!সুপার ওভারে ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে তোলে ১৫ রান।

১৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেও নাটক। শেষ বলে জেতার জন্য কিউইদের দরকার ছিল ২ রান। দু’ রান নিতে গিয়ে রান আউট হন গাপটিল। ফলে সুপার ওভারেও ম্যাচ টাই।

এরকম পরিস্থিতিতে নিয়ম অনুযায়ী যে দল বেশি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছে, সেই দলকেই বিজয়ী হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। ইংল্যান্ড বেশি বাউন্ডারি মারায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হন স্টোকসরাই। আগের কোনও বিশ্বকাপ সুপার ওভারে গড়ায়নি। এমনকি কোনও দল বেশি বাউন্ডারি মারার জন্য বিশ্বচ্যাম্পিয়নও হয়নি। সব দিক থেকে ব্যতিক্রমী এ বারের বিশ্বকাপ।

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর