পরীমনিকে দফায় দফায় রিমান্ড: ক্ষমা চাইলেন দুই বিচারক
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনিকে দফায় দফায় মঞ্জুর করায় হাইকোর্টে ক্ষমা চেয়েছেন নিম্ন আদালতের দুই বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন জানান তারা। রিমান্ডের বিষয়ে ঐ দুই বিচারক লিখেছেন, এটি অনিচ্ছাকৃত ভুল।
এর আগে গত বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) পরীমনিকে দফায় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিচারকদের কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওইদিন এ আদেশ দেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর ৫ পৃষ্ঠার ওই আদেশ প্রকাশিত হয়।
হাইকোর্ট বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ভঙ্গ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা পরীমনিকে তিন বার রিমান্ডে নিয়েছেন। যেখানে প্রথমবারই রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার যথেষ্ট সময় পেয়েছেন।
গত ৪ আগস্ট (বুধবার) পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ পরীমনিকে আটক করে র্যাব। এ ঘটনায় পরের দিন র্যাব বাদী হয়ে বনানী থানায় পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করে।
পরে ৫ আগস্ট পরীমনিকে চারদিন, ১০ আগস্ট দুই দিনের রিমান্ড শেষে পরীমনিকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ১৯ আগস্ট পরীমনিকে আরও একদিনের রিমান্ডে নেয় সিআইডি। রিমান্ড শেষে গত ২১ আগস্ট পরীমনিকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পরদিন ২২ আগস্ট পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে তার জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন। আদালত শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন।
পরবর্তীতে পরীমনির আইনজীবীরা শুনানির দিন এগিয়ে আনার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্টের নির্দেশে জামিন শুনানির দিন ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে এগিয়ে ৩১ আগস্ট ধার্য করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
পরে ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত শুনানি শেষে ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় পরীমনির জামিনের আদেশ দেন।
জামিনের নথিপত্র কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে আসতে দেরি হওয়ায় ওই দিন কারামুক্ত হতে পারেননি পরীমনি। ১ সেপ্টেম্বর কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।
বার্তা বাজার/নব