আইনের দৃষ্টিতে সংক্রমক রোগের বিস্তার ও নীতিমালা

কোভিড- ১৯ (করোনা ভাইরাস) বর্তমান বিশ্বের নতুন এক আতংকের নাম। চীন থেকে শুরু হয়ে বর্তমান বিশ্বের ১৫৫ টি (দুপুর ১২.০০, ১৭/০৩/২০২০) দেশ আক্রান্ত হয়েছে। মহামারি আকার ধারণ করেছে অনেক দেশে। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৮২৪০৭ জন। আক্রান্ত রোগীর ৭৯৪৩৩ জন সেরে উঠলেও মারা গেছে ৭১৫৪ জন যা বিশ্বজুড়ে চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। প্রতিনিয়তই আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিলে যুক্ত হচ্ছে অগণিত মানুষ।

এতো দ্রততার সাথে এই ভাইরাস একজন থেকে আরেক জনে ছড়াচ্ছে তা বলা বাহুল্য। অনেক দেশ সংক্রমন ঠেকানোর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পর্যটন কেন্দ্র, শপিংমল, বিমানবন্দর, নদীবন্দরসহ সকল ধরণের জনসামাগম,সমাবেশ বন্ধ ঘোষনা করেছে। ইউরোপের প্রায় সকল দেশ নিজেরদের লকডাউন করে ফেলেছে। জনগন আবদ্ধ থাকছে থাকছে নিজেদের বাসায়। সেচ্ছায় আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিনে যাচ্ছেন অনেকে। আবার কখনো কখনো জোরপুর্বক আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হচ্ছে। ফলস্বরূপ সমস্ত পৃথিবীই কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এর ব্যাতিক্রম নয় বাংলাদেশও।

আইইডিসিআর এর তথ্য (১৭/০৩/২০২০) অনুযায়ী বাংলাদেশে কোভিড- ১৯ (করোনা ভাইরাস) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০ জন। যারা সবাই বিদেশ ফেরত বা তাদের পরিবারের। এখানেও বিদেশ ফেরত প্রায় সবাইকেই আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হচ্ছে। তাদের কেউ কোভিড- ১৯ (করোনা ভাইরাস) আক্রান্ত হলে যেন তার থেকে অন্য কেউ আক্রান্ত না হয় কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে বিদেশ ফেরত বা যাদের আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিনে পাঠনো হয়েছে তারা তা মানছেন না। চলছেন নিজের ইচ্ছা মতো। ফলে কোভিড- ১৯ (করোনা ভাইরাস) বাংলাদেশে জুড়ে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে।

কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশন কী?
বাংলাদেশের জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর, এ বিষয়ে নিজস্ব সংজ্ঞা দিচ্ছে। সংস্থাটির সাবেক পরিচালক ডা. মাহমুদুর রহমান ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, আপাতভাবে সুস্থ মনে হওয়া মানুষদের জন্য কোয়ারেন্টিন। যেসব ব্যক্তিকে আপাত দৃষ্টিতে সুস্থ মনে হয় কিন্তু সে সুস্থ হতে আবার নাও পারে, তার মধ্যে হয়তো জীবাণু আছে কিন্তু তার মধ্যে কোন ধরণের উপসর্গ দেখা দেয়নি- এমন ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। অর্থাৎ যারা এখনোও অসুস্থ না এবং যাদের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়নি, তাদেরকে কোয়ারেন্টিনে (ভাইরাসটির সুপ্তকাল হচ্ছে ১৪ দিন অর্থাৎ ১৪ দিন পর্যন্ত কাউকে কোয়ারেন্টিন করে রাখলে যদি তার ভেতরে জীবাণু থাকে তাহলে এই সময়কালের মধ্যে তার উপসর্গ দেখা যাবে) রাখা হয়। কোয়ারেন্টিনে রাখা অবস্থায় যদি কারো উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে তাকে আইসোলেশনে নিয়ে যেতে হবে।

আইসোলেশন হচ্ছে, কারো মধ্যে যখন জীবাণুর উপস্থিতি ধরা পড়বে বা ধরা না পড়লেও তার মধ্যে উপসর্গ থাকবে তখন তাকে আলাদা করে যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে তাকে বলা হয় আইসোলেশন। অর্থাৎ আইসোলেশন হচ্ছে অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য। আইসোলেশনে কতদিন রাখা হবে তার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। যত দিন পর্যন্ত তার চিকিৎসা দেয়া হবে ততদিন তাকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। অর্থাৎ পুরোপুরি সেরে না ওঠা পর্যন্ত তাকে আইসোলেশনে রাখতে হবে।
বাংলাদেশে সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রনে আইনগত ব্যাবস্থা বাংলাদেশে সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রনের জন্য সাধারণ আইনের পাশাপাশি স্পেশাল আইনও আছে।

যদি এমন কোন ব্যক্তি সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হন এবং তিনি প্রকাশ্যে চলাফেরা করেন যার প্রভাবে উক্ত সংক্রামক রোগ চারপাশে ছড়িয়ে পড়তে পারে কিংবা মহামারী আকার ধারণ করতে পারে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে;

১. দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ধারাঃ ২৬৯, কোন কার্য দ্বারা জীবনের পক্ষে বিপজ্জনক কোন রোগের সংক্রমন ছড়াইতে পারে জানিয়াও অবহেলাবশতঃ উহা করাঃ কোন ব্যক্তি যদি বেআইনীভাবে বা অবহেলামূলকভাবে এমন কোন কার্য করে যা জীবন বিপন্নকারী মারাত্মক কোন রোগের সংক্রমণ ছড়াতে পারে, তা জানা সত্ত্বেও বা বিশ্বাস করার কারণ থাকা সত্ত্বেও তা করে, তবে-সেই ব্যক্তি ছয় মাস পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে, অথবা অর্থ দণ্ডে, অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে।

২. দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ধারাঃ ২৭০, বিদ্বেষপরয়ন হইয়া উক্ত কার্য করাঃ কোন ব্যক্তি যদি এমন কোন বিদ্বেষমূলক কার্য করে, যা জীবন বিপন্নকারী মারাত্মক কোন রোগের সংক্রমণ বিস্তার করতে পারে, এবং সে কার্য করার দরুণ যে অনুরূপ রোগের সংক্রমণ বিস্তার হতে পারে তা জানা সত্ত্বেও বা বিশ্বাস করার কারণ সত্ত্বেও তা করে, তবে সে ব্যক্তি দুই বৎসর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে অথবা অর্থ দণ্ডে অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে।

৩. দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ধারাঃ ২৭১, জ্ঞাতসারে সংক্রামক রোগ সম্পর্কিত নিয়ম লংঘন করাঃ কোন জাহাজ বা জলাযানের উপর কোয়ারেন্টাইন আরোপের জন্য অথবা যেসব জলযানের উপর কোয়ারেন্টাইন আরোপ করা হয়েছে, অপর কোন জাহাজের বা তীরভূমির সাথে তাদের সংযোগ সম্পর্কে, অথবা যেসব স্থানে সংক্রামক ব্যাধির প্রকোপ দেখা দিয়েছে, সে সব স্থানের সাথে অন্যান্য স্থানের যোগাযোগ সম্পর্কে, সরকার দ্বারা প্রণীত ও জারীকৃত কোন বিধি বা নিয়ম কোন ব্যক্তি যদি জ্ঞাতসারে অমান্য করে, তবে সে ব্যক্তি ছয় মাস পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে, অথবা অর্থ দণ্ডে, অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে।

৪. সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ধারা ২৪, সংক্রামক রোগের বিস্তার এবং তথ্যগোপনের অপরাধ ও দণ্ডঃ (১) যদি কোনো ব্যক্তি সংক্রামক জীবাণুর বিস্তার ঘটান বা বিস্তার ঘটিতে সহায়তা করেন, বা জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও অপর কোনো ব্যক্তি সংক্রমিত ব্যক্তি বা স্থাপনার সংস্পর্শে আসিবার সময় সংক্রমণের ঝুঁকির বিষয়টি তাহার নিকট গোপন করেন তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।
(২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ডে, বা অনূর্ধ্ব ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

৫. সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ধারা ২৫, দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান ও নির্দেশপালনে অসম্মতি জ্ঞাপনের অপরাধ ও দণ্ডঃ (১) যদি কোনো ব্যক্তি-
(ক) মহাপরিচালক, সিভিল সার্জন বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তাহার উপর অর্পিত কোনো দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বাধা প্রদান বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন, এবং
(খ) সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের উদ্দেশ্যে মহাপরিচালক, সিভিল সার্জন বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কোনো নির্দেশ পালনে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন,
তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।
(২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে, বা অনূর্ধ্ব ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

৬. সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ধারা ২৬, মিথ্যা বা ভুলতথ্য প্রদানের অপরাধ ও দণ্ডঃ (১) যদি কোনো ব্যক্তি সংক্রামক রোগ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বা ভুল তথ্য প্রদান করেন তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।
(২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ২ (দুই) মাস কারাদণ্ডে, বা অনূর্ধ্ব ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ধারা ২৮ ও ২৭ঃ
বলা হয়েছে যে, এই আইনের অধীন সংঘটিত কোনো অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার ও আপিল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধির বিধানাবলি প্রযোজ্য হবে এবং এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধসমূহ অ-আমলযোগ্য (Non-cognizable), জামিনযোগ্য (Bailable) এবং আপোষযোগ্য (Compoundable) হবে।
সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ অনুযায়ী, কোন অস্থায়ী বাসস্থানের বা আবাসিক হোটেল ও বোর্ডিং-এর মালিক যদি জানতে পারেন যে তার ওই স্থানে থাকা কেউ এই সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, তবে অবশ্যই সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসককে জানাতে হবে। ডাক্তারদের ক্ষেত্রে একই নিয়ম মানতে হবে। অর্থ্যাৎ তার অধীনে কোন সংক্রামক রোগী চিকিৎসা হলে, সিভিল সার্জনকে রোগী সর্ম্পকে সব ধরনের তথ্য দিতে হবে।

স্বাস্থ্য বিভাগের ক্ষমতাঃ

১. সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ অধীনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বসতবাড়ি, হাসপাতাল-ক্লিনিক বা অন্য যেকোন স্থানে কোন করোনা রোগী বা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পেলে সেখানে পরিদর্শন ও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে।

২. সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে কোন নির্দিষ্ট হাসপাতাল, অস্থায়ী হাসপাতাল, স্থাপনা বা বাড়িতেই কোয়ারেন্টিন কিংবা আইসোলেশনে রাখতে পারবে।

৩. প্রয়োজনে দেশের ভেতরে বাস, ট্রেন, লঞ্চ, প্লেন ইত্যাদি যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করতে পারবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

৪. কোনো যানবাহন, ব্যবহার্য দ্রব্যাদি বা পশুপাখি সংক্রামক জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে বা আক্রান্ত হয়েছে এমন যুক্তিসঙ্গত ধারণা পাওয়া গেলে উক্ত যানবাহন, ব্যবহার্য দ্রব্যাদি বা পশুপাখি জব্দ করতে পারবে।

৫. তাৎক্ষণিকভাবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এবং ওই স্থানে অন্য কোন ব্যক্তির প্রবেশ নিষিদ্ধ, সীমিত বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

৬. আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে যদি অন্য কোন ব্যক্তির সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে, তাহলে তাকে সাময়িকভাবে অন্য যেকোন স্থানে স্থানান্তর বা জন বিচ্ছিন্নও করতে পারবে।

৭. ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যদি মনে করেন, সংক্রামক জীবাণুযুক্ত কোনো স্থাপনা ধারা ১৬ এর অধীনে জীবাণুমুক্তকরণ সম্ভব নয়, তা হলে তিনি উক্ত সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জনকে অবহিত করবেন এবং সিভিল সার্জন প্রয়োজন বোধে উক্ত স্থাপনা ধ্বংস করার জন্য উক্ত স্থাপনার মালিককে নির্দেশ প্রদান করতে পারবেন।

সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ধারা ২৮ অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি কোন সংক্রামক রোগে মৃত্যুবরণ করেন বা করেছেন বলে সন্দেহ হয় তা হলে উক্ত ব্যক্তির মৃতদেহ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশনা মোতাবেক দাফন বা সৎকার করতে হবে।

মন্তব্যঃ
আইন দিয়ে কখনোই কোন সংক্রমক রোগের বিস্তার ঠেকানো সম্ভব নয় তবে আইন মানুষকে সচেতন করতে পারে কিংবা না চাইলেও আইন দ্বারা মানুষকে কিছু কাজ থেকে বিরত বা কাজ করানো সম্ভব। সর্বপরি মানুষকে তাদের নিজের প্রয়োজনে এগিয়ে আসতে হবে। নইলে সংক্রমক রোগের প্রভাবে মানব জাতির অপুরনীয় ক্ষতি হচ্ছে এবং হবে। প্লেগ বা কলেরা বা স্পেনিশ ফ্লু এর মহামারী আকার ধারণ করবে যার ফলে মারা যাবে অসংখ্য মানুষ। বিপন্ন হয়ে যাবে বিলুপ্ত প্রায় অনেক প্রানী। আবেগ কিংবা সহানুভূতি নয় বরং সবার আগে সচেতন হই। আইন ও নিয়ম মেনে চলি। অযথা ও অযাচিত চলাফেরায় সচেতন হই।

অবশ্যই মনে রাখি,
“Don’t be patient 31”
For god’s sake, don’t be Bangladesh’s next Patient.

মোঃ শহিদুল্লাহ মানসুর
আইন বিভাগ,
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর