রাজধানীর নিকেতন থেকে ছয় দেহরক্ষীসগ যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে আটক করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর থেকেই বের হয় তার একের পর এক কুকর্মের আমলনামা।
তার কাছ থেকে নগদ দশ কোটি টাকা এবং প্রায় ২০০ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রেটের (এফডিআর) তথ্য পায় র্যাব। এরপর সাংবাদিকদের ওই কোটি টাকার বান্ডিল দেখার সুযোগ দেয়া হয়।
তবে সাংবাদিক দেখে হতভম্ব হয়ে যান শামীম। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে ছবি তুইলেন না, আমাকে বেইজ্জতি কইরেন না। আমার একটা সম্মান আছে। এখানে যা হচ্ছে, আপনারা দেখছেন। কিন্তু আমাকেও আত্মপক্ষ সমর্থন করতে দিতে হবে।’
এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘প্লিজ ছবি তুলবেন না।’
তার এ কথা শুনে র্যাবের এক কর্মকর্তা শামীমকে বলেন, ‘আপনি আমাদের সহযোগিতা করেন। আমাদের সহযোগিতার জন্য ও অভিযানের সচ্ছতার জন্য মিডিয়া আমাদের সহযোগিতা করছে।’
অভিযানের পুরো সময়টুকু নিজেকে ক্যামেরা থেকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন শামীম। কখনও দাঁড়িয়ে, চেয়ারে বসে, হাত দিয়ে মুখ ঢাকছিলেন তিনি। আবার এটা-ওটা খোঁজার জন্য দীর্ঘক্ষণ টেবিলের নিচে মাথা ঢুকিয়েও রাখেন।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নিকেতনে শামিমের ব্যবসায়িক কার্যালয় জি কে বিল্ডার্সে র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
বার্তাবাজার/এএস