পাঠক যদি বলা হয়, পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষ শতভাগ স্বয়ংসম্পূর্ণ।একবাক্যে বলবেন, ভুল।কারনটাও জানা।কেন না পৃথিবীর সবাই কোনো না কোনো সীমাবদ্ধতা নিয়ে জন্মায়। কিন্তু কখনো কখনো এই সীমাবদ্ধতার কারণে অনেকের জীবনে নেমে আসে হতাশা। আর এই হতাশার কালো মেঘ আরো বেশি ঘনীভূত হয় কিছু অবিবেচক মানুষের কারণে। এমনই একটি হতাশাজনক ঘটনা ঘটেছে ফিলিপাইনের এক নারীর সঙ্গে।
ওই নারীর নাম ন্যান্সি বরক। বয়স ২৭। জন্ম থেকেই হাঁটু থেকে পায়ের নিচের অংশ নেই ন্যান্সির। কিন্তু সম্প্রতি তিনি মুখোমুখি হলেন এক অপ্রত্যাশিত ও হতাশাজনক ঘটনার। তার শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে তাকে দেশটির একটি সরকারি অফিসে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। কারণ, তিনি তখন শর্ট স্কার্ট পরে ওই অফিসে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন।
ন্যান্সি তার হতাশার কথাগুলো সবার সঙ্গে শেয়ার করতে বেছে নেন তার ফেসবুক। ফেসবুক স্ট্যাটাসে সবাইকে জানান তার মনে লুকিয়ে থাকা সেদিন ঘটে যাওয়া সেই বেদনার কথা।
ন্যান্সি লেখেন, ‘সেদিন আমার বোনের সঙ্গে আমি ব্যুরো অব ইন্টারনাল রেভিনিউ অফিসে গিয়েছিলাম একটি নথি জমা দিতে। কিন্তু নিরাপত্তাকর্মী আমাকে আটকে দেয়। আমি কারণ জানতে চাইলে নিরাপত্তাকর্মী আমাকে জানায়, শর্ট স্কার্ট পরে ব্যুরো অব ইন্টারনাল রেভিনিউ অফিসে প্রবেশ করা নিষেধ। তখন আমি বললাম, জন্ম থেকে আমার দুই পা হাঁটুর নিচ থেকে নেই। তাই আমি লম্বা পাজামা পরতে পারি না। আমার এই অপারগতার কথা শুনেও আমাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।’
দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে ন্যান্সি আরো বলেন, ‘সে দেখেছে আমার দুই পা নেই। আমি শুধু শর্ট স্কার্টই পরতে পারি। আপনারাই বলুন, আমি কীভাবে লম্বা পাজামা পরব? কেন তারা এটা বুঝতে পারে না?’
ন্যান্সির সেই আবেগঘন স্ট্যাটাসে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার মন্তব্য ও সাড়ে পাঁচ হাজার বার শেয়ার করা হয়েছে। অধিকাংশ মানুষ তার এই স্ট্যাটাসে ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বার্তাবাজার/এএস