ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা দোগনা বাজারের একমাত্র নাপিত শেফালী রানী শীল। প্রায় দুই যুগ ধরে এলাকার লোকজনের চুল কাটছেন তিনি।প্রত্যন্ত গ্রামে একজন নারীর জন্য এমন একটি পেশা বেছে নেওয়া কতটুকু কঠিন, কেনই বা এই পেশায় আসতে হয়েছে?
পরে জানা যায় এর মুল কারণ। সাধারণত বাংলাদেশে পুরুষরা নাপিতের কাজ করলেও জীবিকার তাগিদে এই পেশায় আসতে হয় তাকে।
তিনি বলেন, ‘আমি চুলকাটি।তার আগে আমার স্বামী কাটত। সে মারা গেছে। আমি মাইয়া পোলা বাঁচামু কি দিয়া।হেয়াগোরো খুওয়ান লাগবে না।প্রথমে মানুষ হাসাহাসি করছে যে, মহিলা মানুষ চুল কাডে।কেমন হবে, ভালো হয় না খারাপ হয়।এহন মানুষ খারায় খায় দ্যাহে।অনেকে কয় মহিলারা চুল কাডে, কয় ভালোই তো কাডে।’
যারা এখানে চুল কাটতে আসেন তাদের মধ্যে একজন বলেন, যেহেতু ও গরিব মানুষ।মোরা যে বাহিরে টাহা দিমু হেয়ার চাইতে টাহাডা ওরে দিমু।২০, ৫০ টাহা দেই।’
শেফালী রানী তার এই উপার্জন দিয়ে পড়া-লেখার খরচ চালান চার সন্তানের।প্রথম মেয়কে বেশি দূর পড়াতে না পারলেও পরের চার সন্তানকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছেন।তিনি বলেন, ‘প্রথম মেয়খে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াইছি।পরের মেয়াটা বিএ পড়ে।ছেলে একটা আইয়ে পড়ে।এক ছেলে নবম শ্রেণিতে আরেক ছেলে দশম শ্রেণিতে।কইছ তো তোরা পড়তে থাক।দেহি যতদূর যাওয়া যায়।
বার্তাবাজার/এএস